Friday, September 1, 2023

হাওড়ের জলবায়ু পরিবর্তন জনিত সংকট সমুহ ও সমাধানে কতিপয় সুপারিশ

 বাংলাদেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের ৭ জেলার ৪৮টি উপজেলায় হাওড়গুলি অবস্থিত। হাওড়গুলি বর্ষাকালে পানিতে টুইটুম্বর থাকে। হাওড়ের গ্রাম গুলি পানিতে ভাসমান দ্বীপের মত দেখায়। কাকতালীয়ভাবে হাওড় বলতে কেবল সিলেট জেলার নামটি বেশী উচ্চারিত হয়ে থাকে। সচরাচর সিলেট বেসিনকেই হাওড় মনে করা হয়। হাওড়ে অঞ্চলে ধান, মাছ সহ প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাপ্যতার কারনে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রচুর মানুষ হাওড় এলাকায় বসতি স্থাপন করেছিল। তবে এখন আর সেই আগের অবস্থা নেই।

সুনামগঞ্জ জেলায় সর্ব্বোচ্চ ১৩৩টি হাওড় অবস্থিত ।

২০২৩ সালের ২৬শে আগষ্ট সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার ‍উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন এ একশনএইড বাংলাদেশ এর ‍উদ্যোগে হাওড় অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন জনিত সমস্যা বা সংকট সমুহ এবং তা মোকাবিলায় করনীয় নিয়ে একটি কর্মশালা আয়োজন করা হয়। কর্মশালাটি আয়োজনের সাথে সম্পৃক্ত ছিল হাওড় ও পরিবেশ উন্নয়ন সংস্থা।  উক্ত কর্মশালায় উপস্থিত সুধীজন বেশকিছু সংকট ও সমাধানের উপায় চিহ্নিত করেন।

হাওড় অঞ্চলের রাস্তাঘাটসহ অবকাটামোগত উন্নয়ন সাধিত হয়েছে অনেক। তবে প্রায় প্রতি বছর হাওড়ের মানুষকে নানাধরনের প্রাকৃতিক দুযোগ এর সাথে লড়াই করতে হয়।

 

কর্মশালায় বেশকিছু সংকট ও সমাধানে করনীয় সুপারিশ করা হয়।

1. Aspects of marginalization 

 - এই এলাকায় বসবাস করার জন্য বিস্তৃত পানি আমাদের জন্য সুবিধা বয়ে আনতো। এই পানিতে একসময় প্রচুর মাছ পাওয়া যেত। কিন্তু এখন মাছ নাই বললেই চলে। তাই এই সুবিধাটি এখন আমরা ভোগ করতে পারছি না।

- সীমান্ত এলাকায় বালুপাথর উত্তোলনের সুযোগ থাকলে মানুষ বাড়তি আয়ের সুযোগ পায়। কিন্তু ড্রেজার, বোমা মেশিন ইত্যাদি ব্যবহার করে বালু পাথর উত্তোলন করায় শ্রমিকরা সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এদের আয় রোজগার কমে গেছে।

- চারদিকে থৈ থৈ পানি থাকার কারণে যাতায়াতের সমস্যা হচ্ছে।

- জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে হাওর অঞ্চলে ঘন ঘন অকাল বন্যা হচ্ছে। এতে এক ফসলী জমিগুলোর ফসল হানি ঘটছে।

- অকাল বন্যা ছাড়াও মৌসুমী বন্যায় হাওরে মাঝে মাঝে বাড়ি ঘর নষ্ট হচ্ছে। ফসল নষ্ট হচ্ছে। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

- আফাল (বড় ঢেউ) এর কারনে বাড়িঘর মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

- ঢেউয়ে গ্রামের এবং বাড়ির ভিটেমাটি ক্ষয় হচ্ছে।

- খাসিয়া ও জৈন্তিয়া পাহাড় থেকে আশা বালি বন্যায় রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, পুকুর, প্রতিষ্ঠান তলিয়ে যাচ্ছে।

- পাহাড়ি ঢল ও বালি বন্যায় রাস্তাঘাট ভেঙ্গে বিধ্বস্ত হচ্ছে এতে যাতায়াত ব্যবস্থায় মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে।

 

2.           Type of vulnerability- (বিপদাপন্নতার ধরণ/প্রকারভেদ)      

- চারদিকে থৈ থৈ পানি থাকার কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া কঠিন হয়ে উঠেছে। হাওর পাড়ি দিয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় অনেক নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে কিছু ছাত্রছাত্রীর সলিল সমাধিও হয়েছে।

- নৌকা ভাড়া করে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার খরচ অনেক বেশি পড়ে যায়। আসা-যাওয়ার খরচ বেশি হওয়ার কারণে অনেক ছাত্র-ছাত্রী বিদ্যালয়ে নিয়মিত যেতে পারে না।

- ছাত্র-ছাত্রীদের মতো শিক্ষকরা ও নিয়ম করে বিদ্যালয়ে যেতে পারেন না এতে শিক্ষার মান ভালো হচ্ছে না।

- ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ানোর জন্য প্রাইভেট টিউটর পাওয়া যায় না।

- যাতায়াত সমস্যার কারণে রোগীদের হাসপাতালে যেতে সমস্যা হয়। এতে বিশেষত গর্ভবতী মায়েরা সমস্যায় পড়েন।

- হাওর ও নদীর অপরিচ্ছন্ন পানি ব্যবহারের কারণে অনেকেই চর্ম রোগে আক্রান্ত হয়।

- প্রকৃতির সাথে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে ঘরবাড়ি ভেঙে যাওয়া এবং অর্থনৈতিক সংকটের কারণে অনেকেই এই এলাকার ছেড়ে শহরে বা অন্য কোন এলাকায় স্থানান্তরিত হচ্ছে।

যাতায়াত দুর্গম হওয়ার কারণে প্রশাসনিক ইউনিট (থানা ও উপজেলা) এর সঠিক সেবা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।

- পর্যাপ্ত পরিমান টিউবওয়েল না থাকার কারণে সুপেয় পানির সমস্যা দেখা দেয়।

- বাধ্য হয়ে অনেক পরিবারকে হাওরের ও নদীর পানি পান করতে হচ্ছে।

- মানসম্মত পয়ো নিষ্কাশনের ব্যবহারের সুযোগ না থাকায় অনেককে খোলা পায়খানা ব্যবহার করতে হচ্ছে।

- পাহাড়ি ঢলে বালি আসার কারণে মানসম্মত পায়খানা গুলো সহজেই ভরাট হয়ে যাচ্ছে। তাই অস্থায়ীভাবে খোলা লেট্রিন ব্যবহার করছে পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত গ্রামগুলো।

- যাতায়াত ব্যবস্থা দুর্গম হওয়ার কারণে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঠিক নজরদারি রাখা কঠিন হয়ে যায়। এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিরও অবনতি ঘটে।

- দুর্গম এলাকা হয় কর্মকর্তা, চিকিৎসকরা হাওর এলাকায় অবস্থান করতে চান না। এতে অনেক পোস্ট খালি থাকে এবং সেবার মান কম থাকে।

- রাজনৈতিক নেতারাও পরিবার নিয়ে শহরে অবস্থান করেন। এতে এলাকার সমস্যা সাথে সাথে নিরসন করা বা এলাকায় অবস্থান করে প্রকৃত পরিস্থিতি যাচাই করার ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি হয়।

- অভিভাবকদের অসচেতনতা ও অর্থনৈতিক কারণে বাল্যবিবাহ বেশি হচ্ছে।

- শিক্ষা কম থাকা ও অসচেতনতার কারণে অনেকেই অধিকার সম্পর্কে সচেতন নন। এতে তারা অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

- বছরের ছয় মাস পানিবেষ্টিত থাকার কারণে সব সময় কাজের সুযোগ থাকে না। ছদ্ম বেকারত্ব দেখা দেয়।

- আগে এপ্রিল মাসের শেষ দিকে অকালবন্যা হতো। এখন মার্চ মাসের শেষ দিকেও অকাল বন্যা হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এই সাইকেল পরিবর্তন হচ্ছে।

 

3.           Coping mechanism (বিপদাপন্নতা মোকাবিলার পদ্ধতি ও সুনির্দষ্ট দাবীসমূহ)

 

- বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের অনেকে খাটের উপর বা ঘরে মাচা বানিয়ে দিনাতিপাত করেছে। কেউ কেউ গাছে উঠে জীবন রক্ষা করেছে।

- সরকারি ও বেসরকারি ত্রাণের চিড়া মুড়ি, খিচুড়ি বা চাল, ডাল খেয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছে।

- সব এলাকায় ত্রাণ পৌঁছে নি। যখন খাবারের অভাব থাকে তখন মানুষ কম খেয়ে দিন যাপন করে।

- সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে কিছু ঘরবাড়ি মেরামত ও পূণ:নির্মাণ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ভুক্তভোগী মানুষ নিজেরাও ঘর মেরামত করেছেন।

- এনজিও থেকে বা গ্রাম্য মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নেওয়া হয়।

- অনেক মানুষ নিজের পিতৃপুরুষের ভিটামাটি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে।

 

পরামর্শ:

- হাওর এলাকার নদী ও বিলগুলো বিজ্ঞান সম্মত ভাবে খনন করতে হবে।

- গ্রামগুলোতে সরকারিভাবে বা বেসরকারি উদ্যোগে গ্রাম প্রতিরক্ষা দেয়াল তৈরি করতে হবে।

- হাওর এলাকায় বেশি করে হিজল, করচ সহ স্থানীয় জাতের গাছ রোপণ করা দরকার।

- হাওর রক্ষা বাঁধ নিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। নীতিমালা অনুযায়ী বাঁধ নির্মাণ করতে হবে।

- ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের জন্য সরকারিভাবে বড় ধরনের নৌকার ব্যবস্থা করতে হবে।

- হাওরের দুর্গমতা বিবেচনায় নিয়ে প্রত্যেকটি গ্রামে একটি করে প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ করতে হবে।

- হাওর এলাকায় কর্মরত প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষকদের হাওর ভাতা প্রদান করতে হবে।

- নৌকায় করে স্কুল (শিক্ষা তরী) কার্যক্রম ভালো ফল দিতে পারে।

- মাছের উৎপাদন বাড়াতে হাওরের মৎস্য অভয়াশ্রম গুলো কার্যকর ভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রত্যেক হাওরে মৎস্য অভয়াশ্রম থাকতে হবে। 

- বিল সেচ দিয়ে মাছ ধরা বন্ধ করতে হবে।

- কোনা জাল , কারেন্ট জাল সহ সকল অবৈধ জাল দিয়ে মাছ ধরা বন্ধ করতে সরকারকে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে।

- প্রজনন কালীন সময়ে মাছ ধরা বন্ধ রাখতে হবে এবং এই সময়ে জেলেদের প্রণোদনা দিতে হবে।

- প্রত্যেক বছর হাওরে পর্যাপ্ত পরিমাণ মাছের পোনা অবমুক্ত করতে হবে।

- হাওরের কৃষক ও জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। যেমন-খাঁচায় মাছ চাষ, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, গবাদি পশু, হাঁস পালন ইত্যাদি।

- জেলেদের ভাসান পানিতে মাছ ধরার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

- জলমহাল নীতিমালা ২০০৯ এর আলোকে যাতে প্রকৃত মৎস্যজীবীরা বিল ডি লিজ আনতে পারে সেটি নিশ্চিত করতে হবে।

- প্রত্যেকটি বিলের সীমানা নির্ধারণ করতে হবে।

- হাওরের জন্য স্বল্প জীবনের উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান আবিষ্কার করে তার ব্যবহার নিশ্চিত করা।

- ভারতের সীমান্ত এলাকায় উন্মুক্ত ভাবে কয়লা উত্তোলন বন্ধ করতে হবে।

- বালি বন্যায় যেসব স্থান ইতিমধ্যে ভরাট হয়ে গেছে সেসব স্থান থেকে বালু পাথর উত্তোলন করে প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে।

- যাতায়াত ব্যবস্থা ও দুর্গমতা বিবেচনা করে হাওর অঞ্চলে আরো ঘন ঘন প্রশাসনিক ইউনিট (উপজেলা, থানা) গঠন করতে হবে।

- হাওর অঞ্চলে আরো ঘন ঘন কমিউনিটি ক্লিনিক বা স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র নির্মাণ করতে হবে।

- সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে হাওরের গ্রামগুলোতে মানসম্মত লেট্রিন ও টিউবওয়েল প্রদান করতে হবে।

 

Saturday, October 20, 2018

দ্রুত ওজন বাড়ানোর বা মোটা হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরামর্শ ও টিপস

রোগা পটকা শরীর নিয়ে অনেকই সমস্যা বোধ করেন। বয়স অনুযায়ী ওজন কম হলে অনেকই মানসিক চাপে থাকেন। কখনও কখনও বন্ধুদের নিকট হাশি তামাশার পাত্র হয়ে থাকেন। এজন্য আমরা অনেক সময় ডাক্তারের শরনাপন্ন হয়ে থাকি। ডাক্তারের পরামর্শ এর পাশিপাশি নিম্নের পরামর্শগুলো চেষ্টা করে দেখতে পারেন।

 

কখন বুঝবেন আপনার ওজন বাড়ানো দরকারঃ

 ............................................................................

বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী কোনো ব্যক্তির ওজন স্বাভাবিক ওজনের চেয়ে ১৫-২০ শতাংশ কম হলে তাকে কম ওজনের অধিকারী বলা হয়। দেহের ওজন বেশি না কম তা জানা যায়  বডি মাস ইনডেক্স বা বিএমআই দিয়ে।

বিএমআই = ওজন (কিলোগ্রাম)/উচ্চতা (মিটার)।

বডি ম্যাস ইনডেক্স ক্যালকুলেটর ব্যবহারের সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, যেমনঃ ভাষা হতে হবে ইংরেজি, উচ্চতা যদি সেঃমিঃ ব্যবহার করেন তাহলে ওজন অবশ্যই কেজি হবে, আবার উচ্চতা যদি ইঞ্চি ব্যবহার করেন তাহলে ওজন অবশ্যই পাউণ্ড হবে, আপনাদের সুবিধার্থে নিচে কয়েকটি কনভার্শন দেখানো হলোঃ

১ ইঞ্চি = ২.৫৪ সেঃমিঃ, ১০০ সেঃ মিঃ=১ মিঃ, ১ ফুট = ০.৩০৪৮ মিঃ = ৩০. সেঃ মিঃ।

১ কেজি = ২.২ পাউণ্ড।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের মতে, বডি মাস ইনডেক্স (বিএমআই) ১৮.৫ এর কম হলে কম ওজন, ১৮.৫ থেকে ২৪.৯৯ হলে স্বাভাবিক এবং ২৫ এর বেশি হলে অতি ওজন ধরা হয়। সাধারণভাবে বিএমআই ১৮.৫-এর নিচে হলে ওজন বাড়ানো উচিত। তবে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।

 

অনেক এ আছে প্রচুর পরিমান এ খাওয়া দাওয়া করেন কিন্তু যেই রোগা সেই রোগাই থেকে যান।অনেক খাওয়ার পর ও ওজন বাড়াতে পারেন না।এদের বলা হয় হার্ডগেইনার (হজমশক্তি)। মেটাবলিজম খুব হাই থাকায় খাওয়ার সাথে সাথে ক্যালরি বার্ণ হয়ে যায়।আর যাদের মেটাবলিজম খুব লো তারা খেলেই মোটা হয়ে যান।বাংলাদেশে মেটাবলিজম লো এমন মানুষ ই বেশি।

অনেক এ আছে জিম এ ব্যায়াম করার পর ও ওজন কিছুতেই বাড়াতে পারেন না।তাদের মাসেল বাড়ে কিন্তু ফ্যাট বাড়ে না।

 আসুন জেনে নেই কিভাবে মেটাবলিজম বাড়ানো বা ভালো করা যায়

.................................................................................

 

মেটাবলিজম ভাল করতে কোন ডাক্তার বা ঔষধ এর প্রয়োজন হবে না।নিজের চেষ্টায় আপনি নিজেই ভাল করতে পারবেন। তবে চলুন শুরু করা যাক কিভাবে মেটাবলিজম (হজমশক্তি) ভাল করবেন।

একজন মানুষ এর প্রতিদিন ২হাজার ২৮০ কিলো ক্যালরি বা সর্বনিম্ন ১৮০০ক্যলরি দরকার।

 

আবার অনেক এ হয়তো ভাবছেন ক্যালরি কি?

 

ক্যালরি হচ্ছে আমাদের শরীর এর শক্তির একক, যা দিয়ে কোন খাবার হতে আমাদের শরীরে কত শক্তি পাওয়া যায় তা পরিমাপ করা হয়।খাদ্য থেকে তৈরী তাপশক্তি পরিমাপ করে খাবার এর ক্যালরি মান নির্ণন করা হয়।খাবার এর ক্যালরি শরীরে জ্বালানি শক্তির মত কাজ করে এবং তা থেকে আমরা সারাদিন কাজ করার শক্তি পাই।

 

আমরা যদি কোন কাজ নাও করি তবুও প্রতি ঘন্টায় ৫৫/৭০ক্যালরি বার্ণ হয়।তাইলে একবার ভাবুন কাজ করা অবস্থায় আমাদের শরীর থেকে কতটুকু ক্যালরি বার্ণ হচ্ছে।যারা হার্ডগেইনারদের মধ্যে তারা ৩ বেলা খাবার খাওয়ার সাথে সাথে সেই ক্যালরি বার্ণ হতে থাকে।তারপর আবার প্রতিঘন্টায় কিছু না কিছু ক্যালরি বার্ণ হতেই থাকে।যেমন আপনি ভাত খান কিন্তু খুব কম তাই মনে করি ৩ বেলা খেয়ে আপনার শরীর ১২০০/১৫০০ ক্যালরি গ্রহন করলো।তাইলে নিজেই হিসাব করুন প্রতিদিন আপনি গ্রহন করলেন ১৫০০ক্যালরি আর প্রতিঘন্টায় কোন কাজ না করলেও ক্যালরি বার্ণ হয় ৫৫থেকে ৭৫ ক্যালরি তাইলে আপনার শরীর এ আর কত ক্যালরি থাকে বেশি হলে ৩০০/৪০০ক্যালরি। আর প্রতিদিন একজন মানুষ এর দরকার ১৮০০থেকে ২২০০ক্যালরি।এবার হইতো বুঝতে পেরেছেন যে কেন বয়স এর অনুযায়ী ওজন বাড়ে না।

তাই ওজন বাড়াতে হলে তাদের প্রথম কাজ হলো ক্যালরি ধরে রাখা।

 

 

 

কিভাবে ক্যালরি ধরে রাখবেন?

--------------------------------------------------------------

নির্দিষ্ট ক্যালরি ধরে রাখার পর যেই ক্যালরি টুকু জমা হয় সেই টুকুই ফ্যাট হওয়ার কাজে সাহায্যে করে।আর প্রতি ঘন্টায় ৫৫/৭৫ ক্যালরি বাড়তি খাওয়া সম্ভব না যেই ক্যালরি টুকু বার্ণ হয়।তাই আপনি যদি ৩ বেলার খাবার খাওয়ার ফাকে ফাকে  আর ৩বেলা  কিছু খান তাহলে বাড়তি ক্যালরি   সংগ্রহ করতে পারবেন এবং বাকি ক্যালরি টুকু আপনাকে ফ্যাট হতে সাহয্যে করবে।একবার খাবার খেয়ে ৩০০/৪০০ক্যালরি গ্রহন করার পর ২.৫/৩ঘন্টা সময় লাগে হজম হতে তারপর আপনার শরীর আবার নতুন ক্যালরি গ্রহন করার জন্য প্রস্তুত হবে। তাই ৩ঘন্টা পর পর খাওয়া ভাল

আর সব সময় চেষ্টা করবেন ৪০০- এর জাইগায় ৪০০+ক্যালরি গ্রহন করতে।তাহলে আপনার একটা বাড়তি অংশের ক্যালরি থাকবে শরীর এ যেটা আপনাকে ফ্যাট হতে সাহায্যে করবে।

হজমশক্তি ভাল করতে হলে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু খাওয়া উচিত।এতে ক্যালরি বার্ণ হলেও আবার ফিরে পেতে সাহায্যে করে এবং শরীর ফ্যাট করতে ও অনেক কার্যকরী।

তাহলে আশা করি বুঝে গেছেন বয়স এর সাথে ওজন না বাড়ার কারনগুলো।

যারা একদম খেতে পারে না তারা যত পারবেন বেশি করে খাবেন কারন বেশি করে খেলে আপনার ভাল ছাড়া ক্ষতি হবে না।

 যা খাওয়া হজম হওয়া মাত্রই যদি আবার খাবার দেন (৩ ঘণ্টা পর পর) তখন শরীরের আর বাড়তি কষ্ট করে অভ্যন্তরীণ শক্তি সঞ্চয় করতে হবে না অর্থাৎ ফ্যাট জমাবে না। তখন শরীর পুরো দৃষ্টি দেবে আপনার বাহ্যিক কাজের ওপর। মানুষ এ সময়ই ‘কাজ-কর্মে বল’ পায় বলে।

 অর্থাৎ হজমশক্তি ভালো রাখতে নিয়মিত অল্প অল্প করে ঘন ঘন খেতে হবে।

  

ঔষধ সেবন করে কি ওজন বাড়ানো সম্ভব ?

 

অনেক এ ডাক্তার এর পরামর্শ ছাড়া ঔষধ খান এটা কখনোই ঠিক না।এতে অনেক সাইড ইফেক্ট দেখা দিতে পারে যা হইতো আপনি নিজে বুঝতে পারবেন না।

ঔষধ খেয়ে মোটা হওয়া যায় তবে পাশাপাশি ডায়েট চার্ট ও ব্যায়াম করতে পারলে ভালো।  ডায়েট চার্ট বা খাদ্য তালিকা অনুসরন ও ব্যায়াম না করলে ঔষধ সেবন করলেও শরীর মোটা হবে ঠিকই, ঔষধ বন্ধ করলে তা আগের জায়গায় চলে যাবে বা চিকন হয়ে যাবেন। আবার শরীরে প্রয়োজনের বেশী ফ্যাট বা চর্বি ভালো নয়। চর্বির পাশাপাশি মাসল থাকতে হবে। মাসল তৈরী করতে খাবার পাশাপাশি ব্যায়াম বা পরিশ্রম প্রয়োজন ।

 

স্বাভাবিক খাবার খেয়েই শরীর মোটা বানালে এতে শরীর সুস্থ থাকে এবং শরীর চিকন হওয়ার কোন ভয় থাকে না।  শরীর ফিট রাখতে ব্যায়ায় এর গুরুত্ব অপরিসীম।

নিয়মিত ভালো ও পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি ব্যায়াম করলে  ভাল ফল পাওয়া যাবে।

 

আসুন জেনেই নিই কি খাবেন

 অবশ্যই ব্যালান্সড ফুড! অর্থাৎ প্রতিবার খাবারে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্যাটের সমন্বয় থাকতে হবে। মোটামুটি ৪০ ভাগ প্রোটিন, ৩০ ভাগ কার্ব, ৩০ ভাগ ফ্যাট হতে হবে।

মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, টক দই, লাল চালের ভাত, আটার রুটি, শাকসবজি, ফলমূল ও প্রচুর পানি।

 

ওজন বাড়ানোর গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপায়

 ***********************************

সকালে উঠে বাদাম ও কিসমিস-

ওজন বাড়ানোর জন্য বাদাম আর কিসমিসের বিকল্প নেই। রাতে ঘুমাবার সময় আধা কাপ কাঠ বাদাম ও কিসমিস ভিজিয়ে রাখুন অল্প পানিতে। সকালে সেগুলো ফুলে উঠলে খেয়ে নিন। সকাল শুরু করুন বাদাম ও কিসমিসের সাথে। বাচ্চাদের জন্যও এটা খুব ভালো একটা খাবার।

 

খাবারের পরিমাণ বাড়ান-

খাবারের পরিমাণ বাড়ানো মানেই হাপুস হুপুশ করে একগাদা খেয়ে ফেলা নয়। আর সেটা সম্ভবও নয়। আপনি যদি কম খাওয়ার কারণে রোগা হয়ে থাকেন, তাহলে খাবারের পরিমাণ আপনাকে বাড়াতেই হবে। স্বাভাবিকভাবে যা খেয়ে থাকেন, তার ৪ ভাগের ১ভাগ পরিমাণ খাবার বাড়িয়ে খান প্রতিদিন।

 

বারবার খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন

অনেকেই ভাবেন যে বারবার খেলে বুঝি ওজন বাড়বে। এটা মোটেও সঠিক না। বরং নিয়ম মেনে পেট পুরে খান। পেট পুরে খাওয়া হলে মেটাবলিজম হার কমে যায়, ফলে খাবারের ক্যালোরির অনেকটাই বাড়তি ওজন হয়ে শরীরে জমবে। অল্প অল্প করে বারবার খাওয়াটা মেটাবলিজম বাড়িয়ে দেয়, ফলে ওজন কমে।

 

খাদ্য তালিকায় রাখুন ডুবো তেলে ভাজা খাবার-

ডুবো তেলে ভাজা খাবারে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট থাকে। ফলে সেটা ওজন বাড়াতে সহায়ক। তবে সাথে রাখুন প্রচুর তাজা শাক সবজির সালাদ।

 

জিমে যাওয়া অভ্যাস করুন-

ভ্রু কুঁচকে গেলো পড়ে? ভাবছেন জিমে মানুষ যায় ওজন কমাতে, বাড়ানোর জন্য কেন যাবেন? কিন্তু আসল কথাটা হলো, কেবল মোটা হলেই হবে না। সাথে তৈরি করতে হবে সুগঠিত শরীর। আপনি জিমে যাবেন পেশী তৈরি করতে, এবং পুরুষেরা ওজন বাড়াতে চাইলে এই জিমে যাওয়া আসলে খুবই ফলদায়ক। পেশীর ওজন চর্বির চাইতে অনেক বেশী তো বটেই, তাছাড়া ব্যায়ামের ফলে খিদেও পাবে আর মন ভরে খেতে পারবেন। তবে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ট্রেইনারের নির্দেশনা মাফিক ব্যায়াম করতে হবে। নাহলে হিতে বিপরীত হবার আশংকা।

 

খান “বসা” ভাত-

বসা” ভাত বলতে বোঝায় যে ভাতে মাড় ফেলা হয় না। মাড় ফেলে দিয়ে ভাতের স্টার্চের অনেকটাই চলে যায় মাড়ের সাথে। ওজন বাড়াতে চাইলে এই মাড় না ফেলাই ভালো। এর ফলে ভীষণ উপকার হবে ওজন বাড়াতে। আতপ চাল বা পোলাও চালের বসা ভাত মজাও লাগবে খেতে।

 

ঘুমাবার ঠিক আগেই দুধ ও মধু-

ওজন বাড়াবার জন্য একটা একটা অব্যর্থ কৌশল। রাতের বেলা ঘুমাবার আগে অবশ্যই বেশ পুষ্টিকর কিছু খাবেন। আর খিদে পেলে তো আয়েশ করে পেট পুরে খেয়ে নেবেন। আর সাথে সাথেই ঘুম। ফলে খাবারের ক্যালোরিটা খরচ হবার সময় পাবে না, বাড়তি ওজন হিশাবে জমবে শরীরে। ঘুমাবার আগে প্রতিদিন এক গ্লাস ঘন দুধের মাঝে বেশ অনেকটা মধু মিশিয়ে খেয়ে নিবেন।

 

কমান মেটাবলিজম হার-

মোটা হবার পেছনে যেমন ধীর গতির মেটাবলিজম দায়ী, তেমনি রুগ্ন স্বাস্থ্যের পেছনে দায়ী উচ্চ মেটাবলিজম হার। সুতরাং মোটা হতে গেলে প্রথমেই এই মেটাবলিজম হার কমাতে হবে। তাতে আপনি যে খাবারটা খাবেন, সেটা বাড়তি ওজন রূপে আপনার শরীরে জমার সুযোগ পাবে। মেটাবলিজম হার কম রাখার জন্য প্রতিবেলা খাবারের পর লম্বা সময় বিশ্রাম করুন। খাবার পর কমপক্ষে ১ ঘণ্টা কোনও কাজ করবেন না।

 খাদ্য তালিকায় যোগ করুন কিছু বিশেষ খাবার-

আপনার নিয়মিত খাবারের পাশাপাশি অবশ্যই কিছু উচ্চ ক্যালোরি সম্পন্ন খাবার যোগ করতে হবে খাদ্য তালিকায়, নাহলে ওজন বাড়বে কেন? উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা না থাকলে এই খাবার গুলো খেতে পারেন অনায়াসে। যেমন- ঘি/ মাখন, ডিম, চিজ/ পনির, কোমল পানীয়, গরু-খাসির মাংস, আলু ভাজা, মিষ্টি জাতীয় খাবার, চকলেট, মেয়নিজ ইত্যাদি।

  খান প্রচুর শাক সবজি ও ফল-

ভাবছেন এগুলো তো ওজন কমাবার জন্য খাওয়া হয়, তাই না? ওজন বাড়াতেও কিন্তু আপনাকে সাহায্য করবে এই ফল আর সবজি। এমন অনেক ফল আর সবজি আছে যারা কিনা উচ্চ ক্যালোরি যুক্ত। যেমন- আম, কাঁঠাল, লিচু, কলা, পাকা পেঁপে, মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টি আলু, কাঁচা কলা ইত্যাদি। ফল ও সবজি খেলে স্বাস্থ্য জম্ন ভালো থাকবে, তেমনি ওজনও বাড়বে।

 

 

 ব্যায়াম নিয়ে জেনে নিনঃ

********************

জিমে গিয়ে ব্যায়াম

জিমে গিয়ে হার্ড ব্যায়াম করতে পারলে ভালে।   সপ্তাহে ৩ দিন (একদিন পর পর) ব্যায়াম করতে পারেন। প্রতিটা সেশন ৬০ মিনিট থেকে ৭৫ মিনিটের মধ্যে রাখবেন। কেননা এর পরে শরীর ক্লান্ত হয়ে আসবে। তখন ব্যায়াম চালিয়ে গেলে পেশি ক্ষয় হবে। জিম শুরুর দুই ঘণ্টা আগে খাবেন এবং শেষ হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে অবশ্যই আবার খাবেন। যতটা সম্ভব বিশ্রাম নেবেন, ঘুমাবেন। প্রথম দিন বুক, পিঠ এবং পেটের ব্যায়াম। দ্বিতীয় দিন পা এবং পেট। তৃতীয় দিন কাঁধ, বাহু, পেট।

দুই সপ্তাহ ঠিকমতো সব কিছু অনুসরণ করলে কমপক্ষে এক থেকে দুই কেজি ওজন বাড়বে। কিন্তু এরপর আর যতই খান, আপনার শরীর আর নিতে পারবে না, কেননা আপনার এনাবলিক হরমোন আবার নরমাল পর্যায়ে চলে আসবে। তখন শরীরের বৃদ্ধিও কমে আসবে। তাই পরের সপ্তাহে খাওয়া অনেক কমিয়ে দিতে হবে। ১ হাজার ৩০০-১ হাজার ৫০০ ক্যালরির মতো খাবেন। খাদ্য খুব ক্লিন হতে হবে। ফ্যাট আর কার্ব তুলনামূলকভাবে কম খাবেন।

যথাটা সম্ভব অল্প অল্প করে ব্যায়াম শুরু করুন। শুরুতেই অতিরিক্ত ব্যায়াম করলে শরীর এর উপর চাপ পড়বে।  খুব হালকা ওয়েট নিয়ে ১০ থেকে ১৫ রেপস করে দেবেন। শরীরের ওপর খুব চাপ দেবেন না। কেননা এই সপ্তাহে আপনি খাচ্ছেন কম। এ সপ্তাহটা হবে শরীরের মেইনটেনেন্স পর্ব মাত্র। এ পর্বে শরীর থেকে কিছুটা পানি বেরিয়ে যাবে, তাই একটু হালকা হয়ে যাবেন। একটু ওজন কমে যাবে। এটা দেখে ভেঙে পড়বেন না। কেননা পরের দুই সপ্তাহে বেশি খাবার ও হার্ড ব্যায়ামের ফলে শরীর আবার ফুলতে শুরু করবে। পেটে খাবার পড়া মাত্রই শরীর স্পঞ্জের মতো চুষে নেবে।

এভাবে প্রতি ৩ সপ্তাহে এক-দুই কেজি করে ওজন বাড়বে। এই টেকনিকটা যতদিন না আপনার ওজন পর্যাপ্তের বেশি হচ্ছে ততদিন চালিয়ে যাবেন। ধরুন, আপনার ওজন দরকার ৭০ কেজি, তাহলে ৭৫ কেজি পর্যন্ত বাড়াবেন। তারপর অন্য টেকনিকে ব্যায়াম করে বাকি ৫ কেজি, ফ্যাট ঝরিয়ে ফেলতে হবে।

 যেখানে জীম নেই

সবজায়গায় জীম থাকে না । তাহলে কিভাবে ওজন বাড়াবেন। ব্যায়াম যেমন ওজন কমাতে সাহায্য করে তেমনি এটি স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন বাড়াতে সহায়তা করতে পারে। আসুন জেনে নেই কিছু ব্যায়াম সম্পর্কে

১. পুশ আপ (Pushups)

2. পুল আপ (Pullups)

৩.বেঞ্চ ডিপস (Bench Dips)

৪.স্কোয়াটস (Squats)

৫. ক্রাঞ্চেস (Crunches)

ব্যায়াম নিয়ে আরো বিস্তারিত জানতে গুগুল বা ইউটিউবে খুজুন।

  

যদি এইসব না করেও আপনার ওজন না বৃদ্ধি পায়, তাহলে অবশ্যই একজন ভালো ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। কেননা কোনও সুপ্ত অসুখ থাকলেও তার ফলে রুগ্ন ও ভগ্ন স্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারেন।

 

[ ইন্টারনেট হতে সংগৃহীত]

Thursday, September 7, 2017

Tanguar Haor,Sunamgonj

Rainy season
Korach Bagan
Duck Rearing
বক
মাছ ধরা (Fishing)

Hijal Tree



tiplolasker.blogspot.com
Sunset in Haor

tiplolasker.blogspot.com
Hijal Tree

tiplolasker.blogspot.com
Karach at the time of rainy seoson





Tanguar Haor(Sunamgonj,Sylhet)

Sunamganj: Tanguar Haor(টাঙ্গুয়ার হাওর) 

tiplolasker.blogspot.com
Tanguar Haor
 Tanguar haor (Bengali: টাঙ্গুয়ার হাওর), (also called Tangua haor), located in the Dharmapasha and Tahirpur upazilas of Sunamganj District in Bangladesh, is a unique wetland ecosystem of national importance and has come into international focus. The area of Tanguar haor including 46 villages within the haor is about 100km2 of which 2,802.36 ha2 is wetland. It is the source of livelihood for more than 40,000 people. The Government of Bangladesh declared Tanguar haor as an Ecologically Critical Area in 1999 considering its critical condition as a result of overexploitation of its natural resources. In 2000, the hoar basin was declared a Ramsar site - wetland of international importance. With this declaration, the Government is committed to preserve its natural resources and has taken several steps for protection of this wetland.

Tanguar haor plays an important role in fish production as it functions as a 'mother fishery' for the country.
Every winter the haor is home to about 200 types of migratory birds. The haor is an important source of fish. In 1999-2000, the government earned 7,073,184 takas as revenue just from fisheries of the haor. There are more than 140 species of fresh water fish in the haor. The more predominant among them are: ayir, gang magur, baim, tara, gutum, gulsha, tengra, titna, garia, beti, kakia etc. Hijal, karach, gulli, balua, ban tulsi, nalkhagra and other freshwater wetland trees are in this haor.
Tanguar Haor(টাঙ্গুয়ার হাওর) is possibly the second largest Haor(হাওর) from Bangladesh(বাংলাদেশ). This is declared as the motherland for fishes of Bangladesh(বাংলাদেশ). Lot of Beel(বিল) and swamp area all together are called as Tanguar Haor(টাঙ্গুয়ার হাওর). Local people say this as Tangua Haor(টাঙ্গুয়া হাওর).
Plenty of rivers and canals passed through this massive haor. Most of those rivers were originated from the Indian hills. If you go there during winter then you have to go through the Baulai river(বাউলাই নদী).

Basically you will go there to watch the migratory birds(অতিথী পাখি) from the haor. Lot of such birds used to come from Siberia during winter. Unfortunately my timing wasn't good. It was almost at the end of winter. You should go there winter.

There is a temporary Ansar camp(আনসার ক্যাম্প) at the middle of the Haor. Also there is an organization available which is controlling the fishing at the Haor. Possibly it is morning 9 to afternoon 3 is the period of catching fish from Haor. After that, no fishing.

How to Go:

This is for the trip during winter. Rainy season will be different.

1. Using a bus from Dhaka you can easily come at Sunamganj Town(সুনামগঞ্জ টাউন). Best services are Mamun(মামুন), ENA(এনা) Shamoli(শ্যামলী), etc. Bus fare is 550 Taka. It will take around 6-7 hours during night journey.

4. From the Nothun Bridge (নতুন ব্রীজ), hire motor bike to come at Tahirpur Bazar(তাহেরপুর বাজার). Each one will cost around 250-300 taka. Two person can ride on bike after the driver. GPS of the Tahirpur(তাহেরপুর) is (25° 5'54.73"N, 91°10'35.72"E). It will take around 40-50 minutes. Alternately you can use the CNG three wheler  if you taking female travelers with you.

4. Using a bike from the town, come to Solman Ghat(সলমান ঘাট), GPS is (25° 5'16.82"N, 91° 6'55.94"E). It will be 50-60 taka per bike and a 30 minutes ride.

5. Hire a boat from the Solman Ghat(সলমান ঘাট). A small engine boat will cost around 800 to 1000 taka per day. From the Ghat, it will take around two hours to reach at the middle of the Haor.

Where to Stay:

You can stay at the Tahirpur Upozila Guest House(তাহেরপুর উপজেলা গেস্ট হাউস ) or Tahirpur Dak Banglo(তাহেরপুর ডাক বাংলো, ) during the trip. This is the nearest possible accommodation from the Haor. We have hired two rooms from the Upozila Guest House(উপজেলা গেস্ট হাউস), each of the room were 100 taka per night. Contact number of the Dak Banglo(ডাক বাংলো) is 01724968161.
If you planned to stay in Haor area  you have to manage a room from local village . Cost will be 100 to 200tk. But my suggestion to stay in boat at night so that you can enjoy the sunset and sunrise from the middle of the Haor and belive me it will be a great experience for you because Haor looks so heavenly at those time. You will be able to see the both incident parallel of your eyes and at the night you can enjoy the moon light or can watch the shooting stars (possible in clear sky). There is a small island in the middle of Tanguar Haor near at Tanguar Haor rest house( now Ansaar use this as their camp)and few families live there. This island have the sanitary facilities and you can pass the night near to it .It is the safer place from anywhere of the Haor. 
Sunamgonj Town
In Sunamganj there are few hotels and room rent will be 200 to 500 tk.
It will better if you stray in sunamgonj town. Taking some times rest then you start journey to Tanguar Hoar to visit. After visiting Tanguar Hoar you will back to in hotel and taking some time rest then your go to your destination by bus in night. You will be find many hotel near bus stand.In Sunamganj there are few hotels and room rent will be 200 to 500 tk. Some comfortable and good hotel also has here.
Hotel & Guest house in sunamgonj
Lotifa Guest House-01799462607
Suncread  Guest house 01710927314
Surma vally Residential resort-0183360333

What to eat (food):

There are so many restaurant in Sunamganj and food price is very reasonable. In Tahirpur the restaurant facilities is not well enough. If you plan to stay night at boat you have to buy foods from Tahirpur local market. Discuss with your boatman and tell him to manage cooking facilities at that island. Local people of that island is very friendly and they can cook for you. You can also do BBQ at there if you have all necessary things for it.

Tips:

** Along with the engine boat, hire a small boat or two. Tie the boat behind the engine boat. You can use that to observe the birds more closely. At the middle of the Haor, you may find difficulties to hire such boats.

** There are lot of shako(সাকো) will be on your path, to cross by feet, it will be 2 taka per person. To cross using your hired bike, it will be 10 taka per bike. So during hiring bike, make sure about who will pay the bill.
*Take a life jacket. It is must if you do not know swimming.
*Be aware of malaria, use mosquito repellent (Odomos) when you will pass the night near at that island.
*Be very careful at bargaining.
* Use umbrella for sun/ rain.
* Take poly thins to save your electronics devices .
*Take first aid kits and band aids.
*At the time of sun rise/sun set and night there is possibility to be attacked by millions of tiny white insects . They are not harmful but too much annoying. Cover your face if you see them.
* Be careful at scuba diving because inside Haor there are so many plants and invisible net(current jal).
*Do not go there only for fishing.
*Using current jal is totally banned there.
*Best time to go there is winter.
*Best place for wildlife photography because of thousands migratory birds.
*Do not hunt the birds.
*Do not drop any waste material and poly thins in Haor.
*Keep the Haor clean.




Wednesday, September 6, 2017

May, Might, Can, Could, Shall, Will, Would, Should, Must ইত্যাদি-এর ব্যবহার ............

❂ Modals Verbs in Conversation
---------------------------------------------
1.Would এর ব্যবহার : would এর অর্থ ফিক্সড না। একেক সময় would একেক অর্থ প্রদান করে। সাধারণ বাক্যে would দ্বারা অতীত অভ্যাস প্রকাশ করতে পারি।
I would swim. আমি সাতার কাটতাম।
I wouldn't swim.আমি সাতার কাটতাম না।
Would I swim? আমি কি সাতার কাটতাম?
Wouldn't I swim? আমি কি সাতার কাটতাম না?
Why would I swim? আমি কেন সাতার কাটতাম?
Why wouldn't I swim? আমি কেন সাতার কাটতাম না?

2.Now we can discuss about Would in Requests:
নমনীয়তার খাতিরে বা পলায়ট প্রশ্ন করতে ইহা ব্যবহার হয়। যেমন :
Would you please close the door? দয়া করে দরজাটা বন্ধ করবেন?
Would you please help me? দয়া করে আমাকে একটু সাহায্য করবেন ?
Would you please give me your pen? অনুগ্রহ করে আপনার কলমটি দিবেন?
Would you please give me a space beside you?অনুগ্রহ করে আপনার পাশে একটু জায়গা দিবেন ?
3. we can discuss about Would you mind +Verb+ing অর্থাৎ Would you mind এর পর Verb এর শেষে ing যুক্ত হবে:
Would you mind closing the door? আপনি দরজাটি বন্ধ করে দিলে কিছু মনে করবেন কি?
Would you mind helping me? আপনি আমাকে সাহায্য করলে কিছু মনে করবেন কি?
Would you mind giving me your pen? আমাকে আপনার কলমটি দিলে কিছু মনে করবেন কি?

4.Now we can discuss about Would Like(চাওয়া) অর্থাৎ কোন কিছু চাওয়ার ক্ষেত্রে Would Like ব্যবহার হয় তবে এর পরিবর্তে want ও ব্যবহার করতে পারবেন :
Would you like to go? আপনি কি যেতে চান ?
Yes, I would like to go there. হ্যা, আমি সেখানে যেতে চাই।
Would you like me to prepare the presentation?
Yes, please. I'd be most grateful.

❂ May – এর ব্যবহার : Possibility (সম্ভাবনা)
---------------------------------------
It may rain tomorrow (কাল বৃষ্টি হতে পারে)
He may be at office now (সে এখন অফিসে থাকতে পারে)
Permission (অনুমতি). in the present May I come in? (আমি কি ভেতরে আসতে পারি ?)
You may speak now (তুমি এখন বলতে পার)
Offer (প্রস্তাব)
May I help you? (আমি কি আপনাকে সাহায্য করতে পারি ?)

❂ Might – এর ব্যবহার : Possibility (সম্ভাবনা) (less possible than may)
---------------------------------------------------------
It might rain tomorrow (কাল বৃষ্টি হতেও পারে)
He might go to Sylhet (সে সিলেট যেতেও পারে)
Hesitant offer (প্রস্তাব)
Might I help you? (আমি কি আপনাকে সাহায্য করব ?)

❂ Can – এর ব্যবহার :Ability (সামর্থ). in the present
--------------------------------------------------
Rob can speak English fluently (রব অনর্গল ইংরেজী বলতে পারে)
I can run fast (আমি দ্রুত দৌড়াতে পারি)
Permission (অনুমতি). in the present
Can I go to the toilet? (আমি কি শৌচাগারে যেতে পারি ?)
Request (অনুরোধ)
Can you give me a book? (আপনি কি আমাকে একটা বই দিতে পারেন ?)
Possibility (সম্ভাবনা)
It can get very cold in London (লন্ডনে খুব ঠান্ডা পরতে পারে)


❂ Could – এর ব্যবহার : Ability (সামর্থ). in the past
--------------------------------------------------------
I could run fast (when I was young) (আমি খুব দ্রুত দৌড়াতে পারতাম)
I could sing song (আমি গান গাইতে পারতাম)
Possibility (সম্ভাবনা)
It could get very hot in Dhaka (ঢাকায় খুব গরম পরতেও পারে)
Possibility (সম্ভাবনা), in the future
I could go to London (next week) (আমি আগামী সপ্তাহে লন্ডন যেতেও পারি)
Polite request (ভদ্রোচিত অনুরোধ)
Could you give me a pen? (আপনি কি আমাকে একটা কলম দিতে পারবেন ?)
Could you wait for me? (আপনি কি আমার জন্য অপেক্ষা করতে পারবেন ?)


❂ Shall – এর ব্যবহার :প্রশ্নবোধক বাক্যে 1st person এর ক্ষেত্রে Will এর পরিবর্তে Shall বসে।
-------------------------------------
যেমন :
Shall we dance? (আমরা কি ড্যান্স করব ?)
Shall I carry your bag? (আমি কি তোমার ব্যাগ বহন করব ?)

❂ Will – এর ব্যবহার : Request (অনুরোধ) (less polite than would)
-------------------------------------------
Will you close the window? (আপনি কি জানালা টা বন্ধ করবেন ?)
Will you give me a paper? (আপনি কি আমাকে একটা কাগজ দিবেন?)


❂ Would – এর ব্যবহার : Polite request (ভদ্রোচিত অনুরোধ) (more polite than will)
----------------------------------------------------
Would you please close the window? (আপনি কি দয়া করে জানালা টা
বন্ধ করতে পারবেন ?)
Wouid you switch off the TV? (আপনি কি টিভিটা বন্ধ করতে পারবেন ?)
Habits (অভ্যাস), in the past
Sometimes he would give me kiss (সে মাঝে মাঝে আমাকে চুমু খেত)
Unreal situation (অবাস্তব অবস্তা)
If I were you, I would go to office regularly (আমি যদি তুমি হতাম, তাহলে অামি নিয়মিত অফিসে যেতাম)

❂❂Should / Ought to – এর ব্যবহার : Advice (উপদেশ) / necessity (ঔচিত্য)
----------------------------------------
You should study more (তোমার আরও পড়ালেখা করা উচিত)
You ought to study more (তোমার আরও পড়ালেখা করা উচিত)
Obligation (বাধ্যবাধকতা)
You should switch off the TV when you leave the room (রুম থেকে বের হওয়ার সময় তোমার টিভিটা বন্ধ করা উচিত)
You ought to switch off the TV when you leave the room (রুম থেকে বের হওয়ার সময় তোমার টিভিটা বন্ধ করা উচিত)
Request (অনুরোধ)
Should you go with me? (আপনার কি আমার সাথে যাওয়া উচিত ?)
❂Must – এর ব্যবহার : Force, necessity (বাধ্যবাধকতা)

-----------------------------------------------------
I must go home. (আমাকে বাসায় যেতেই হবে)
I must study a lot (আমাকে প্রচুর পড়ালেখা করতেই হবে)
Possibility (সম্ভাবনা)
You must be sick (আপনি নিশ্চিত অসুস্থ)
You must be tired (আপনি নিশ্চিত ক্লান্ত)

[ইন্টারনেট হতে সংগ্রহীত]


Tuesday, August 29, 2017

হাওরঃ উৎপত্তি ও ইতিহাস এবং ভৌগলিক সীমানা “Haor: Genesis, History and Geograpical area"

হাওর উৎপত্তি ও ইতিহাসঃ Genesis and History

বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। এর অবস্থান দক্ষিন এশিয়ার ক্রান্তিয় অঞ্চলে ৮৮ ডিগ্রি থেকে ৯৩ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমা এবং ২০ডিগ্রি থেকে ২৭ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশের ভেতরে।লুসাই পাহাড় থেকে উৎপন্ন বরাক নদীর পানি বাংলাদেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে। বরাক নদী বাংলাদেশে প্রবেশের মুহুর্তে সিলেটের আলমশিদ নামক স্থানে সুরমা ও কুশিয়ারা নামে দুটি শাখায় ভিভক্ত হয়েছে। এই সুরমা ও কুশিয়ারা নদী দুটোর অববাহিকাতেই বাংলাদেশের বিখ্যাত হাওর গুলো অবস্থিত।
দেশের উত্তর-পুর্বাঞ্চালে অবস্থিত হাওরগুলো দেশের প্রধান মিম্নাঞ্চল এলাকা। ব্রম্মপুত্র নদ তার প্রবাহপথ 1787 সালের বন্যা ও ভুমিকম্পের পর মধুপুর গড়ের পুর্বদিক থেকে পশ্চিমে পরিবর্তন করলে পলিমাটি ভরাট হওয়ার অভাবে ও অঞ্চল নিচু থেকে যায়। তাছাড়া মেঘালয় ও বাংলাদেশের সীমান্ত বরাবর সংঘটিত ‘ডাউকি চ্যুতি’র কারণে অতি প্রাচীনকালে এলাকাটি 3 থেকে 10 মিটার বসে যায়। তবে সোমেশ্বরী, যাদুকাটা/রকতি,ধামালিয়া/চলতি এবং সুরমা ও কুশিয়ারা নদী পলি বহন করে ক্রমশ হাওরগুলোকে ভরাট করে চলেছে।

হাওর শব্দের উৎপত্তিঃ

বিভিন্ন গ্রন্থ ও সুত্র মতে, মুল শব্দটি সাগর । অপভ্রংশ ও উচ্চারণ বিচ্যুতি ঘটতে ঘটতে সাগর শব্দটি সায়র,হাওর এবং আঁওর শব্দে পরিনত হয়েছে।
অন্যমতে, বাংলাদেশের উত্তর-পুর্বাঞ্চলে ছিল এক দুর্দান্ত সমুদ্র কালিদহ সাগর। সেই সাগর কালের বির্তবনে ছোট বড় ভাগে ভাগ হয়ে হয়েছে হাওর। শব্দের উচ্চারনগত আঞ্চলিকতায় সাগরকে ‘সায়র’ বলা হতো। শব্দের অপভ্রংশ-সাগর>সায়র> হাওর।

হাওর এর উৎপত্তির ইতিহাসঃ 

 গারো ও মেঘালয় পাহাড়ের কোল ঘেষে বরাক নদীর ভাটি অঞ্চল হিসাবে এই জনপদটি যে কোন একসময়ে একটি বিশাল ভুমিকম্পের মাধ্যমে তৈরী হয়েছে তাতে সন্দেহ নেই। ভুমিকম্পের মাধ্যমে এই অঞ্চলটি আরো অনেক নীচু ও অসমান প্রাকৃতিক জলাশয়ে রূপান্তরিত হয়ে থাকবে।
কোন কোন লেখকের মতে, ব্রম্মপুত্র নদ তার প্রবাহপথ ১৭৮৭সালে বন্যা ও ভুমিকম্পের পর মধুপুর গড়ের পুর্বদিক থেকে পশ্চিম দিকে পরিবর্তন করলে পলিমাটি ভরাট হওয়ার অভাবে এই অঞ্চল নিচু থেকে যায়। তাছাড়া মেঘালয় ও বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর সংঘঠিত ” ডাউকি চ্যুতি  ‘র কারণে অতি প্রাচীনকালে এলাকাটি ৩ থেকে ১০মিটার বসে যায়। তবে স্থানীয় নদীসমুহ যথা সোমেশ্বরী,যাদুকাট,চলতি,রকতি,ধামালিয়া এবং সুরমা নদীর পলি এলাকাটিকে ক্রমশঃ ভরাট করে চলেছে।
ফলে এমনও হতে পারে যে, বর্তমান রূপ পরিগ্রহ করার জন্য একাধিক ভুমিকম্পের প্রয়োজন হয়েছে। তবে ভুমিকম্পের পরে এ অঞ্চলটি বর্তমানের মতো প্লাবিত হতো না।
ভৈরবে রাজা ষষ্ঠ জর্জ রেল সেতু চালু হয় ১৯৩৭ সালে । এ সেতুর জন্য হাওর এলাকায় বন্যার প্রকোপ বেড়েছে- এমনটি অনেকেই মনে করেন। কার্যত মেঘনা নদীতের সেতু তৈরীর জন্য কয়েক কিলোমিটার প্রসস্ত মেঘনাকে বেঁধে অতিক্ষু্দ্র একটি জায়গায় নিয়ে আসতে হয়েছে, যার ফলে মেঘনা ভৈরব পয়েন্টের উজানে বিপুল পানি আটকে যায়। এ সেতুর নিকট হইতে হাওরের সুচনা। ভৈরব থেকে নৌপথে কাপুডিয়া নামক স্থানে গেলে মেঘনারে আসল তা চোখে পড়ে । হাওরের রূপ সেখানে থেকে উত্তরের দিকে ধাবিত হলে চোখে পড়বে।

হাওর এর ভৌগলিক অবস্থানঃ

Haor Maps in Bangladesh
Haor areas in Bangladesh
বাংলাদেশে উত্তর-পুর্বাঞ্চলের৭ টি জেলার ৪৮ টি উপজেলায় বিস্তৃত ‘পিরিচ’ আকৃতির হাওর গুলি অবস্থিত।কাকতালীয়ভাবে হাওরের সাথে কেবল সিলেটের নামটিও বেশি জড়িত।সচরাচর সিলেট বেসিনকই হাওর মনে করা হয়। তবে হাওর মানে সিলেট নয় সিলেট বেসিন বলা যেতে পারে।সাতটি জেলার  সর্বোচ্চ ২৪ শতাংশ অঞ্চল হাওর এলাকায় অবস্থিত। ভৈরব সেতুর কাছ থেকে ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলা নাসিরনগর উপজেলার বৃহদাংশ হাওরে অবস্থিত।হবিগঞ্জ জেলা লাখাই ও আজমিরিগঞ্জ উপজেলার প্রায় পুরোটাই হাওর এবং বানিয়াচং ও নবীগঞ্জ উপজেলার অধিকাংশ ই হাওর তবে এ দুই উপজেলায় উচু ভুমি আছে।মৌলভীবাজার উপজেলার বড়লেখা, কুলাউড়া ও শ্রীমঙ্গল   উপজেলায় হাওর আছে। সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় হাওর আছে। মৌলভীবাজার ও সিলেট জেলার চারটি উপজেলায় হাকালুকি হাওর অবস্থিত। মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় হাইল হাওর অবস্থিত।সুনামগঞ্জ জেলার সদর,ধর্মপাশা,তাহিরপুর,দিরাই,জামালগঞ্জ ও শাল্লা উপজেলা অধিকাংশই হাওর এলাকার। ছাতক,দোয়ারাবাজার,বিশ্বম্ভরপুর ও দক্ষিন সুনামগঞ্জ উপজেলার কিছু এলাকায় হাওর আছে। এই উপজেলা গুলোতে উচু ভুমি আছে।নেত্রকোন জেলার খালিয়াজুরি উপজেলার পুরোটাই হাওর অঞ্চল। মদন,মোহনগঞ্জ,আটপাড়া ও কমলাকান্দার অংশবিশেষ হাওরে অবস্থিত। কিশোরগঞ্জ জেলা অষ্টগ্রাম,ইটনা ও মিটামইন উপজেলার পুরোটাই গভীর হাওর এ অবস্থিত। নিকলি, বাজিতপুর,ভৈরব ও করিমগঞ্জ উপজেলার অংশবিশেষে  হাওর আছে। বাংলাদেশের উত্তর-পুর্বাঞ্চল সীমান্তবর্তী গারো পাহাড় থেকে শুরু করে ভৈরব উপজেলার মেঘনা সেতু পর্যন্ত হাওর এলাকা বিস্তৃত। বিভিন্ন তথ্য ও উপাত্ত যাচাই করে দেখা যায় যে, সুনামগঞ্জ,সিলেট,মৌলভীবাজার,হবিগঞ্জ,কিশোরগঞ্জ,নেত্রকোনা ও ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলার ৪৮টি উপজেলার ২৪১৭বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে হাওর অঞ্চল গড়ে উঠেছে। সাত জেলা মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ মানুষ সরাসরি হাওর অঞ্চলে বসবাস করে। তবে এর আশেপাশে বিপুল জনগোষ্টির সাথে এ অঞ্চলে অর্থনৈতিক ও সামাজিক সম্পর্ক রয়েছে। হাওরের মোট জমির পরিমান ১৫ লাখ ৪৭হাজার ১৩৩ একর। এই সাত জেলা মোট হাওরের সংখ্যা ৩৯৫টি। হবিগঞ্জ জেলায় ৩৮টি, মৌলভিবাজারে ৪টি, সিলেট জেলায় ৪৩টি, নেত্রকোনা জেলায় ৮০টি,ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলায় ৩টি, কিশোরগঞ্জ জেলায় ১২২টি এবং সুনামগঞ্জ জেলায় সর্বোচ্চ ১৩৩টি হাওর অবস্থিত।