


প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটন ভিড় জমান এই ঝরনা ধারার সৌন্দর্য উপভোগে। মাধবকুন্ড থেকে ২০ মিনিটের দুরত্বে রয়েছে আরো একটি ঝর্ণা। এর নাম পরীকুন্ড। মাধবকুন্ড যাওয়ার উত্তম সময় হচ্ছে বর্ষাকাল, এই সময় ঝর্ণা পানিতে পুর্ণ থাকে। শীতকালেও এর সৌন্দর্য্যের কমতি হয় না। মাধবছড়াকে ঘিরেই খাসিয়াদের জীবনযাত্রা আবর্তিত হয়। ফলে আদিবাসী জীবনযাত্রা আর সংস্কৃতিও উপভোগ করা যাবে এখানে।
মাধবকুন্ড জলপ্রপাতে এলে চোখে পড়বে উচু নিচু পাহাড়ি টিলায় দিগন্ত জোড়া চা বাগান। টিলার ভাঁজে ভাঁজে খাসিয়াদের পানপুঞ্জি ও জুম চাষ। পাহাড়ীদের সনাতনী বাড়ি ঘর জীবনযাত্রা দৃশ্য সত্যিই অপুর্ব।
মাধবকুন্ড অতীত থেকেই হিন্দু সম্প্রদায়ের তীর্থস্থান হিসাবে পরিচিত। প্রতি বছরের চৈত্র মাসে ভগবান মাধবেশ্বরের আশির্বাদ নিতে হাজার হাজার মানুষ এখানে আসে। এ সময় মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশীতে পুণ্যার্জন ও বারুনী স্নান করে পাপ মুক্তির কামনা করেন তারা। মাধবকুন্ডে মাধবের মন্দির ছাড়াও রয়েছে শিব মন্দির। বিশালাকার শিবলিঙ্গ পুজা করাও হয়ে থাকে। চৈত্র মাসের ওই সময়ে বিশাল মেলা বসে।
0 comments:
Post a Comment