উচ্চ রক্তচাপকে এক ধরনের নীরব ঘাতক বলা যায়।আমাদের হার্টে প্রতিনিয়ত পাম্পের মতো প্রতিটি কোষে রক্ত সরবরাহ করে থাকে। এই রক্ত প্রবাহমান ধারায় রক্তনালীর দেয়ালে যে বল প্রয়োগ করে তাই রক্তচাপ। এই প্রবাহে কোনো ধরনের বাঁধা বা স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হলে সে অবস্থাকে আমরা উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন বলি। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা সব সময়ই নির্ভর করি ডাক্তার আর ওষুধের ওপর। কিন্তু আমরা চাইলে ঘরোয়া ভাবেও এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি। কীভাবে, জেনে নিন:
বিট: বিটের জুসও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে টনিকের কাজ করে।
উচ্চ রক্তচাপ একটি নীরব ঘাতক হয়ে দেখা দিতে পারে। এটি হার্ট এটাক, স্ট্রোক, হৃদরোগ এমনকি মৃত্যুরও কারণ হতে পারে। তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করুন।
মাছ, মাংস, সবজি: মাছ ও মুরগির মাংস খেলে আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু লাল মাংস বিশেষ করে গরুর মাংস খেলে রক্তচাপ আরও খারাপ অবস্থায় চলে যায়। সবজি এবং মাছ আমাদের শরীরের জন্য উপকারি। প্রতিদিনের খাবারে প্রচুর সবজি এবং মাছ রাখুন।
রসুন:
বিশ্বজুড়ে অনেক ধরনের খাদ্য তৈরিতে একটি বিশেষ উপাদান হচ্ছে রসুন।মনে করে দেখুন, অামাদের দাদী, নানীরা ছোটবেলায় প্রতিদিন এক টুকরো রসুন খেতে বলতেন। আসলে ওনারাই সঠিক ছিলেন। এই প্রাকৃতিক ওষুধ রসুন আমাদের শরীরের কলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
পেঁয়াজ এবং মধু:
উচ্চ রক্তচাপ দ্রুত কমিয়ে দেওয়ার জন্য একটি দারুণ টিপস্ হচ্ছে, একটি কাপে এক চা চামচ পেঁয়াজের রস এবং দুই চা চামচ মধু নিয়ে প্রতিদিন খান।
গাজর:
আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে দিনে দুবার গাজরের জুস খান। নিয়মিত গাজর খেলে আমাদের ত্বকও ভালো থাকে।বিট: বিটের জুসও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে টনিকের কাজ করে।
লবণ:
সুস্থ থাকতে হলে প্রতিদিনের খাবার থেকে অবশ্যই কাঁচা লবণ বাদ দিতে হবে। এতো গেল খাবারের কথা।
ব্যায়াম ওমেডিটেশনঃ নিয়মিত মেডিটেশন করুন, প্রতিদিন আধা ঘণ্টা হাঁটুন আর দুশ্চিন্তা দূরে রেখে প্রিয়জনের সঙ্গে হাসিখুশি থাকুন। উচ্চ রক্তচাপ একটি নীরব ঘাতক হয়ে দেখা দিতে পারে। এটি হার্ট এটাক, স্ট্রোক, হৃদরোগ এমনকি মৃত্যুরও কারণ হতে পারে। তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করুন।
0 comments:
Post a Comment